নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা গাড়ি চালাচ্ছে। এটা রক্ষণশীল দেশটির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবের নারীরা চালকের আসনে বসেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বহাল থাকা গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। আজ রোববার থেকে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে, যাতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। আর চলতি মাসের শুরু থেকেই নারীদের লাইসেন্স দেওয়া আরম্ভ হয়। সৌদি আরবই একমাত্র দেশ ছিল, যেখানে নারীরা গাড়ি চালাতে পারতেন না।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবে বিস্তৃত পরিসরে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে পুরুষ অভিভাবকের কাছে নারীদের অধীন করে রাখার ক্ষেত্রে।
ধারণা করা হচ্ছে, হাজার হাজার নারী রাস্তায় গাড়ি চালাতে নামবেন।
সৌদি টিভি উপস্থাপক সাবিকা আল-দোসারি বলেন, ‘প্রত্যেক সৌদি নারীর জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’ মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তিনি কয়েক মিনিট গাড়ি চালান বলে জানান।
এখন সৌদি নারীরা গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে এখনো তারা ভ্রমণ, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদি পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া করতে পারেন না।
সৌদি আরবের মানবাধিকারকর্মী বলেন, গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও নারীদের আটকে রাখার বিষয়টি লজ্জাজনক ও হৃদয়বিদারক।
সৌদি সমাজকে আধুনিকতার দিকে নিয়ে যেতে এটা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগ বলে জানা গেছে। তার মস্তিষ্ক থেকেই ‘ভিশন-২০৩০’ কর্মসূচি এসেছে, যাতে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।